সাম্প্রতিক পোস্ট

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 20 নভেম্বর

النَّبِيُّ أَوْلَىٰ بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ

নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ । [সূরা আহযাব-৬]

এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দী ইতিহাসের সর্বাধিক অন্ধকারময় ও অধঃপতিত যুগ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিব্ধস্ত মানবতা যেভাবে অধঃপতন ও অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছিল এ সময়ে এসে তা তার চুড়ান্ত সীমায় পৌঁছে যায়। জাহিলিয়াতের আঘাতে মাবনতার ভিত দুর্বল ও নড়বড়ে হয়ে পরেছিলো এবং মানবতা মরণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলো। ঠিক তখনই মহান আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওহী ও রেসালতের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেন। তিনি সেই মুমূর্ষ মানবতাকে নতুন জীবন দান করেন এবং অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন। বিশ্বস্ত ঐতিহাসিকগণ এ সস্পর্কে আমাদের সামনে বিস্ময়কর এমন সব ঘটনা তুলে ধরেছেন যা ইসলাম ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যাবে না।

বুখারীর এ বর্ণনায় বর্ণিত হয়েছে, তাবেয়ী মা‘রূর ইবনে সুয়াইদ রাহ.। ইনি কুফার অধিবাসী ছিলেন। হাদীসশাস্ত্রের ইমামদের কাছে ‘ছিকা’-বিশ্বস্ত ছিলেন। তিনি বলেন, আমি রাবাযায় আবু যর গিফারী রা.-এর সাথে সাক্ষাৎ করি। দেখলাম, ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


মসজিদে নির্ধারিত স্থানে বসা সম্পর্কে:

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 09 নভেম্বর

প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করার ফযীলত :
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যদি মানুষ জানত যে আযানের মধ্যে এবং প্রথম সারিতে কি রয়েছে, অতঃপর উহা লটারী ব্যতীত পাওয়া না যেত, তাহলে অবশ্যই তারা লটারী করত। (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য এক হাদীসে এসেছে
হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, হযরত রাসূল (সা:) প্রথম সারির জন্য তিনবার মাগফিরাত চাইতেন এবং দ্বিতীয় সারির জন্য একবার মাগফিরাত চাইতেন। (ইবনে মাজাহ:১/৯৯৬)।
বিধায় যারা এমন ফজীলত চায় তাদের জন্য উচিৎ হবে সবার আগে গিয়ে সেই জায়গায় বসা। আবার এজন্যে মসজিদে কোন জায়গাও নির্ধারিত করে রাখা যাবে না

এবং কেউ আগে গেলে তাকে সেখান থেকে তুলেও দেওয়া যাবে না।  
কারণ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম তার মুসলমান ভাইকে তুলে দিয়ে সেখানে বসতে নিষেধ করেছেন। (বোখারী হাদীস নং ৯১১)
এবং অন্য এক হাদীসে হযরত আব্দুর রহমান ইবন সিবল (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কাকের ঠোকরের ন্যায় (অর্থাৎ তাড়াতাড়ি) সেজদা করতে, ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


ফরজ নামাজ বাদ সম্মিলিত দুআ কি বিদআত?

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 23 অক্টবর

নামাজ,রোজা, হজ্ব ও যাকাত যেমন  ইসলামের স্বতন্ত্র একটি এবাদত ঠিক দুআও ইসলামের  স্বতন্ত্র একটি এবাদত। তাই দুআকে ভিন্ন কোন দৃষ্টিতে দেখার কোন সুযোগ নাই।

দুআ একটি সতন্ত্র এবাদত:

মুমিনের সব থেকে বড় হাতিয়ার হচ্ছে তার দুআ।

“দুআ মুমিনের হাতিয়ার” এটাকে আমরা অনেক সময় হাদীস মনে করে থাকি প্রকৃত পক্ষে এটি হাদীস নয়, তবে সহীহ হাদীসের অর্থ বাহক। অন্য এক হাদীসে এসেছে: সবর এবং দুআ মুমিনের কতইনা উত্তম হাতিয়ার।

 

تخريج السيوطي. فر.  عن ابن عباس . تحقيق الألباني. ضعيف  انظر حديث رقم : ৫৯৭০

মহান আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছের তাঁর কাছে দুআ করার জন্য:

দুআর  মাধ্যমে মুমিন তার রবের সাথে যে কোন সময় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে যে কোন বিপদাপদ ও মুসীবাতে। তাই আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:

وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ

১.তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে  দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে। (সূরা-মুমিন; ৬০)

إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


কুরবানীর গোশতের সামাজিক বন্টন ও আহকাম:

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 14 জুলাই

সমস্ত মুসলিম কুরবানীর দিনগুলোতে মহান আল্লাহ তা‘আলার মেহমান। আর আল্লাহ তা‘আলার যিয়াফত ও আতিথেয়তা গ্রহণ করার মধ্যেই রয়েছে বান্দার কল্যাণ।

মহান আল্লাহ তা‘আলা কুরবানীর দিনগুলোতে তাঁর নিবেদিত পশুর গোশত মুসলিমদের জন্য অবারিত করে দিয়েছেন, যাতে তারা তা খেয়ে তাঁর শুকর আদায় করতে পারে।

কাজেই কুরবানীর গোশত খাওয়া উদরপূর্তিমাত্র নয়; বরং এটি একটি উঁচু মানের এবাদত ও এতে রয়েছে ত্যাগের অমিয় শিক্ষা। কুরবানীর দিন কুরবানীদাতারা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে তাঁর যিয়াফতের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। তাই যারা কুরবানী দেয়ার সামর্থ রাখে না তাদের মেহমানদারীর দায়িত্ব কুরবানীদাতাদের জিম্মায়। এজন্য কুরবানীর দিন গরীব ও অভাবগ্রস্তদের মাঝে কুরবানীর গোশত বিতরণ; এটা গরীরদের প্রতি করুণা নয়; বরং কুরবানীদাতারা যেন এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে  যিয়াফতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। কুরবানীদাতারা মেহমানদারীর দায়িত্ব গ্রহণ করার কারণে তার গোশতকে ভাগ করা মুস্তাহাব করে দেওয়া হয়েছে।

তাই; কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতেই কুরবানীর গোশত তিন ভাগে ভাগ করা মুস্তাহাব।

১.এক ভাগ নিজের জন্য

২.এক ভাগ বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য

৩.ও এক ভাগ গরীব ও অভাবগ্রস্তদের বাড়িতে গুরুত্বের ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


কার গীবত করেন; কেন করেন? জেনে নিন:

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 25 জুন

গীবত জঘণ্য গুনাহ ও মারাত্মক অপরাধ। যার গীবত করা হয়েছে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া এ গুনাহ মাফের কোন উপায় নেই।

গুণী না হয়েও গুণের দাবী করা ও বর্ণনা যেমন ইসলাম সমর্থন করে না, ঠিক ক্ষেত্র বিশেষে দোষ গোপন করার অনুমতিও ইসলাম দেয় না। তাই দোষ ও গুণ বর্ণনার কঠোর নীতি রয়েছে ইসলামে।

তাই ইসলামের সোনালী যুগ থেকেই (الجرح والتعديل) জরাহ-তা'দীল তথা

দোষ-গুণ চর্চার একটা সাধারণ নিয়ম চলে আসছে । সে নিয়ম মেনে যদি কেউ কারো দোষ চর্চা করে তাহলে তা নিষিদ্ধ গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না বরং তা হবে শরীয়ত সম্মত । তাই কখনও কখনও দোষ-গুণ চর্চা করা অপরিহার্য হয়ে পরে, যা না করলেই নয়। কারণ ক্ষেত্র বিশেষ গীবতের মধ্যেই থেকে থাকে জাতির কল্যাণ।

তাই মুহাদ্দিসীনেকেরামগণ ও ফুকাহায়েকেরামগণ বৈধ গীবতের সীমা-রেখা বেঁধে দিয়েছেন যা আমাদের অবশ্যই জানা দরকার। নিম্নে তার আলোচনা তুলে ধরা হল:

القدح ليس بغيبة في ستة متظلم ومعرف ومحذر

ولمجاهر فسقا ومستفت ومن طلب إلاعانة ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন