বিস্তারিত

মসজিদে নির্ধারিত স্থানে বসা সম্পর্কে:

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 09 নভেম্বর

প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করার ফযীলত :
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যদি মানুষ জানত যে আযানের মধ্যে এবং প্রথম সারিতে কি রয়েছে, অতঃপর উহা লটারী ব্যতীত পাওয়া না যেত, তাহলে অবশ্যই তারা লটারী করত। (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য এক হাদীসে এসেছে
হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, হযরত রাসূল (সা:) প্রথম সারির জন্য তিনবার মাগফিরাত চাইতেন এবং দ্বিতীয় সারির জন্য একবার মাগফিরাত চাইতেন। (ইবনে মাজাহ:১/৯৯৬)।
বিধায় যারা এমন ফজীলত চায় তাদের জন্য উচিৎ হবে সবার আগে গিয়ে সেই জায়গায় বসা। আবার এজন্যে মসজিদে কোন জায়গাও নির্ধারিত করে রাখা যাবে না

এবং কেউ আগে গেলে তাকে সেখান থেকে তুলেও দেওয়া যাবে না।  
কারণ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম তার মুসলমান ভাইকে তুলে দিয়ে সেখানে বসতে নিষেধ করেছেন। (বোখারী হাদীস নং ৯১১)
এবং অন্য এক হাদীসে হযরত আব্দুর রহমান ইবন সিবল (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কাকের ঠোকরের ন্যায় (অর্থাৎ তাড়াতাড়ি) সেজদা করতে, চতুষ্পদ জন্তুর মতো বাহু বিছাতে এবং মসজিদের মধ্যে উটের মতো নির্দিষ্ট স্থান বেছে নিতে নিষেধ করেছেন। (দাউদ শরীফ, হাদিস নম্বর-৮৬২, ইবন মাজাহ হাদিস নম্বর-১৪২৯)।
তাই কেউ যদি বর্ণিত ফজিলত পেতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই সবার আগে গিয়ে স্থান দখল করতে হবে, পরে গিয়ে কেউ যদি এমন ফজীলত অর্জন করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে এ হাদীসের ধমকির আওতায় আসতে হবে। (মেরকাত শরহে মেশকাত: খ.২; পৃ.৩৬০)

 

 

 

প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0


আপনার মন্তব্য লিখুন


Graveter Image

নাম

April 12