বিস্তারিত

আশুরার তাৎপর্য।

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 19 জুলাই


মহররমের ১০ তারিখকে বলা হয় আশুরা। এটা নাম বাচক বিশেষ্য নয়, এটা গুণবাচক বিশেকষণ। বিশেষ কিছু ঘটনা ঘটার কারনেই এ তারিখকে আশুরা বলা হয়। ইমাম বোখারী রহ. তাঁর সহীহ গ্রন্থে একখানা হাদীস হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন- রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম যখন হিজরত করে মদীনায় এসে দেখতে পেলেন যে, ইয়াহুদিরা আশুরার দিন রোযা রাখে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম তাদের এ দিনে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন যে, তোমরা এ দিনে কেন রোজা রাখ? ইয়াহুদির উত্তরে বললো- এটা ত একটা মহান দিবস, এ দিনে আল্লাহ পাক ফিরাউনকে স্বদলবলে নীলনদে ডুবিয়ে মারেন ও হযরত মুসা আ. কে ফিরাউনের নির্যাতন থেকে নাজাত দান করেন।  
এজন্যে হযরত মুসা আ. এদিনে শুকরিয়াতান রোজা রাখতেন তাই আমরাও এদিনটিতে রোজা রাখি।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বললেন তোমাদের তুলনায় আমি মুসা (আ.)এর সর্বাধিক নিকটতম ( কারণ তিনিও নবী আমিও নবী) তাই এ রোজার হকদার আমিই বেশী। এজন্যে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম নিজেও আশুরার রোজা রাখতেন এবং অন্যদেরও আশুরার রোজা রাখার কথা বলতেন। (বোখারী ও মুসলীম)
সারকথা, একটি বিজয় ও পতনের সাথে আশুরার রোজার সম্পর্ক। বিজয় হলো হযরত মুসা ও তাঁর ক্বওমের আর পতন হলো জালিম অহংকারী ফেরাউনের।
কিন্তু বর্তমানে আনেকে মনে করে আশুরার ফজীলত ও আমল হচ্ছে কারবালা কেন্দ্রিক এবং অনেকে মনে করে আশুরা মানেই কারাবালা।
আশুরা সম্পর্কে এমন আকিদা বিশ্বাস রাখা ইসলাম বিরোধী।
এমন আকিদা বিশ্বাস শিয়া‘রা ছাড়া আর কেই রাখতে পারে না।
হা,ঁ কারবালার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক, এটাকে কেউ আস্বীকার করতে পারবে না। কারবালার তাৎপর্য, শিক্ষা একটি সতন্ত্র বিষয়। এর সাথে আশুরার লেশমাত্র সম্পর্ক ও নাই ।
আল্লাহ পাক আমাদের সত্য-সঠিক বোঝার তাওফীক নসীব কনের আমীন।
 

 


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0


আপনার মন্তব্য লিখুন


Graveter Image

নাম

April 12