রোযাদার যেন তার রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীল কথা বার্তা ও গর্হিত আচরণ থেকে পবিত্র করতে পারেন এবং ঈদের আনন্দে ধনীদের সাথে গরীব-দুখীরাও যেন শরীক হতে পারে- এ মহান দুইটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে সাদাকাতুল-ফিতর ওয়াজীব করা হয়েছে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদাকাতুল-ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন-রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীল কথাবার্তা জনিত অপরাধ থেকে ও গর্হিত আচরণ থেকে পবিত্র করার উদ্দেশ্যে এবং মিসকিনদের খাদ্যের সুব্যবস্থার জন্যে। যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে তা আদায় করবে, তার জন্য তা কবুলকৃত যাকাত বলে গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি ঈদের পরে তা আদায় করবে, তার জন্য তা একটি সাধারণ দান হিসাবে গণ্য হবে ।
আবু দাউদ শরীফ ।
সতাকাতুল-ফিতর মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা রমযানুল মুবারকের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। মুসলিম উম্মাহ এ আমলটিকে নববী যুগ থেকে আজ পর্যন্ত দ্বীনের অন্যান্য মৌলিক আমলের সাথে নিয়মিত আমল করে আসছে। ইহা আমাদের অঞ্চলে “ ফিতরা” নামে ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
রাসুল প্রেম তথা রাসুল (স.) কে মুহাব্বত করা ও তাঁর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ও ঈমানের দাবি। কেননা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” ইসলামের এই কালিমায় দুটি বিষয় রয়েছে (ক)আল্লাহর তাওহীদ (খ) নবীজির রিসালাত। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ঈমানের দাবী হচ্ছে আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি মুহাব্বত পোষণ করা। এটাও ঈমানের অন্তর্ভুক্ত বিষয়। আবার আল্লাহর প্রতি মুহাব্বত প্রকাশের পন্থাও রাসুল (স.) এর অনুসরণের মাধ্যমে হতে হবে। স্বয়ং আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, অর্থ, ‘(হে নবী) বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবেসে থাক, তাহলে আমার অনুসরণ কর’। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত নং ৩১) তাই নবীপ্রেম ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ও ঈমানের দাবি।
উম্মতের প্রতি রাসুল (স.) এর প্রেম, ভালবাসা ও দরদ এত বেশী ছিল যে, উম্মতের চিন্তায় নিজের সব সুখ-দুঃখের কথা ভুলে গিয়েছিলেন বিসর্জন দিয়েছিলেন সব চাওয়া-পাওয়া ও সুখ-শান্তিকে। এজন্য তিনি আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে ছিলেন, হারাম করে ছিলেন আরামের নিদ্রাকেও।
শুধু তাই নয়, আমদের ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
شب براءة (শবে বারাআত) ফার্সী শব্দ, شب যার অর্থ রাত। আর براءة (বারাআত) অর্থ নিষ্কৃতি, দায়মুক্তি। যেহেতু এ রাতে আল্লাহ তাআলা বহুসংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি তথা নিষ্কৃতি দান করেন তাই এ রাতকে شب براءة বলা হয়। যে সমস্ত বরকতময় রজনীতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করে থাকেন, শবে বরাত তাদেরই অন্যতম।এ রাতটি তাফসীর-হাদিস ও ফেক্বাহ শাস্ত্রের কিতাব সমুহে ليلة النصف من شعبان শব্দে বর্ণিত হয়েছে যার অর্থ শাবানের মধ্য রজনী। মূলত এ রাতটি হলো শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ শাবানের পঞ্চদশ রজনী।
শাবান মাসের মধ্য রজনী’র চারটি উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে আর তা হলোঃ
১. ليلة البراءة (মুক্তি বা নিষ্কৃতির রাত)
২. ليلة مباركة (বরকতময় রজনী )৩. ليلة الرحمة (দয়া ও রহমতের রাত )৪. ليلة الصك (দায়মুক্তির রাত) ।
২. এ রাতকে ‘লাইলাতুস সাক’ নামে নামকরণের কারণ হিসেবে তাফসীরে কাশশাফে বর্ণিত আছে যে- যখন কোন ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
মৃত ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া প্রসঙ্গেঃ
আমাদের সমাজে একটা প্রথা আছে, তা হচ্ছে, কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার জানাযায় উপস্থিত লোকদের এ ভাবে দাওয়াত দেয়া হয়যে, অমুক তারিখে মাইয়্যেতের বাড়িতে ইসালে ছাওয়াব ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে, সকলের প্রতি দাওয়াত রইল।
মৃতব্যক্তির বাড়িতে খানার ব্যাবস্থা করা ও খানা খাওয়া বেদআত, এ ব্যাপারে উম্মতের উলামায়ে কেরাম একমত। বিভিন্ন কারণে এমন অনুষ্ঠান অবৈধ ও হারাম।
(১) এ সমস্ত রছম-রেওয়াজের কোন অস্তিত্ব ইসলামে নেই এগুলো জাহিলিয়াতের যুগে আরবের মুর্খ লোকেরা করে থাকত।
ইসলাম এসে এ সমস্ত জাহিলী প্রথাকে রহিত করে দিয়েছে।
(২) সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে সালেহীনদের থেকে এমন কোন আমলের প্রমাণ পাওয়া যায় না।
(৩) এটা যারা করে তাদের এটা মনগড়া কাম।
(৪)
عن أبي هريرة رضى الله تعالى عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إذا مات الإنسان انقطع عمله إلا من ثلاث صدقة جارية وعلم ينتفع به وولد صالح يدعو له . أخرجه مُسلم .
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বলেন- ...
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন
প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0 | বিস্তারিত পড়ুন