আখলাক

কার গীবত করেন; কেন করেন? জেনে নিন:

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 25 জুন

গীবত জঘণ্য গুনাহ ও মারাত্মক অপরাধ। যার গীবত করা হয়েছে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া এ গুনাহ মাফের কোন উপায় নেই।

গুণী না হয়েও গুণের দাবী করা ও বর্ণনা যেমন ইসলাম সমর্থন করে না, ঠিক ক্ষেত্র বিশেষে দোষ গোপন করার অনুমতিও ইসলাম দেয় না। তাই দোষ ও গুণ বর্ণনার কঠোর নীতি রয়েছে ইসলামে।

তাই ইসলামের সোনালী যুগ থেকেই (الجرح والتعديل) জরাহ-তা'দীল তথা

দোষ-গুণ চর্চার একটা সাধারণ নিয়ম চলে আসছে । সে নিয়ম মেনে যদি কেউ কারো দোষ চর্চা করে তাহলে তা নিষিদ্ধ গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না বরং তা হবে শরীয়ত সম্মত । তাই কখনও কখনও দোষ-গুণ চর্চা করা অপরিহার্য হয়ে পরে, যা না করলেই নয়। কারণ ক্ষেত্র বিশেষ গীবতের মধ্যেই থেকে থাকে জাতির কল্যাণ।

তাই মুহাদ্দিসীনেকেরামগণ ও ফুকাহায়েকেরামগণ বৈধ গীবতের সীমা-রেখা বেঁধে দিয়েছেন যা আমাদের অবশ্যই জানা দরকার। নিম্নে তার আলোচনা তুলে ধরা হল:

القدح ليس بغيبة في ستة متظلم ومعرف ومحذر

ولمجاهر فسقا ومستفت ومن طلب إلاعانة ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


সীরাতুন্নবী সা.এর গুরুত্ব-তাৎপর্য:

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 08 ডিসেম্বর

একটি সার্বিক পর্যালোচনা:

দুইটি শব্দ মিলে “সীরাতুন্নবী” গঠিত। একটি হলো ‘সীরাত’ আর আপরটি হচ্ছে ‘আন্নবী’ । সীরাত শব্দের অর্থ হলো জীবনচরিত বা জীবনেতিহাস। আর ‘আন্নবী’ দ্বারা আমাদের নবীকে বুঝানো হয়েছে, কেননা নবী দ্বারা আরবী ভাষায় সব নবীদের বুঝানো হয়, আর আন্নবী দ্বারা  শুধু আমাদের নবী  হযরত মুহাম্মদ সা. কেই বুঝানো হয়। এখানে ‘সীরাত’ ও ‘আন্নবী’ দুটি শব্দ দ্বারা “সীরাতুন্নবী” গঠিত হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে: মহানবীর জীবনচরিত।

সীরাতুন্নবী দু’ভাগে ভাগ।

আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সা.এর ৬৩বছরের পবিত্র জীবনচরিতকে “সীরাতুন্নবী” বলা হয়। নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর জীবনকে ইতিহাসবেত্তাগণ দু’ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ভাগ হচ্ছে, নবুওয়াতপূর্ব  ৪০বছর, আর দ্বিতীয় ভাগ হচ্ছে, নবুওয়াতপরবর্তী ২৩বছর,সর্বমোট ৬৩বছর। মোট কথা, রসূল সা.এর নবুওয়াতপরবর্তী ২৩বছরের পবিত্র জীবন এবং নবুওয়াতপূর্ববর্তী  ৪০বছরের পবিত্র জীবন, রসূলের এ দু’টি জীবন মিলে ৬৩ বছরের পবিত্র জীবনকেই “সীরাতুন্নবী” বলা হয়। রসূল সা.এর মুহাব্বাত ও ভালোবাসা ছাড়া ঈমান কখনও পূর্ণতায় পৌঁছে না। তাই প্রতিটি মুমিন মুসলমানের জন্য জরুরী রসূল সা.এর দু’টি জীবনেরই গুরুত্ব ও তাৎপর্য ভালোভাবে বুঝে ...


প্রসঙ্গ: ইসলামী জ্ঞান প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


তাজমহলের ভাষা

মাওলানা মুফতী ফজলুল হক 19 সেপ্টেম্বর

        (১)

আগ্রা শহরে, যমুনার তীরে, দ্বাড়িয়ে রয়েছে তাজমহল,

প্রেমিকার তরে, কালের কোপলে, চিরনির্ঝর চোখের জল।

যুগযুগ ধরে কহিতেছে ইহা, দৃঢ় প্রত্যয় নিয়া,

স্বামীই হচ্ছে শ্রেষ্ট প্রেমিক; স্ত্রীই হচ্ছে শ্রেষ্ট প্রিয়া।

তাজমহলের পাথরে পাথরে, দাম্পত্য প্রেমের জয় জয় গান,

বাম কবরে স্ত্রী মমতাজ, ডান কবরে স্বামী শাহজাহান।

পবিত্র কালাম মুখেতে জপিয়া যারা বেঁধেছিল বাসর ঘর,

সেই বাসরকে মাটির তলে স্থাপন করিলেন জগদীশ্বর।

কত ভালোবাসা স্বামীর হৃদয়ে প্রিয়তমা স্ত্রীর তরে,

মরিয়াও তারা করিতেছে প্রেম মাটির বাসর ঘরে।

(২)

এটা ছিলনা পরকীয় প্রেম, এটা ছিলনা ভ্রষ্টামী,

বিয়ে না করেই যুবক যুবতীর আধুনিক যত নষ্টামী ।

বোটানিকালে অবিবাহিত কপত কপতী বসে কত,

ওরাও প্রেমিক, ওরাও প্রেমিকা, তবে কুকুর- কুকুরীর মত।

কুকুর মেলে যেখানে সেখানে; কুকুরের নেই বিবাহ বাসর,

দিকে দিকে আজি গজিযে উঠছে বেহায়াপনার আসর।

   (৩)

শাহজাহান ছিলেন পাকা নামাজী, পূত চরিত্রের অধিকারী,

স্ত্রী ব্যতিরেকে অবৈধভাবে খোঁজেননি তিনি অন্যনারী।

তাইতো যখন না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রাণের স্ত্রী,

বিষাদ হইল স্বাধের জীবন, বিষাদ হইল ধরিত্রী।

রাজ্য ছিল, প্রজাও ছিল, শুধু ছিলনা মমতাজ মহল,

তাইতো তিনি মনস্থ করলেন, বানাবেন এক তাজমহল।

এ নহে শুধু সমাধি ...


প্রসঙ্গ: ইসলামী জ্ঞান মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


মুসলমান একটি পবিত্র নাম!!!!

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 06 সেপ্টেম্বর

 

একটা গল্প দিয়ে শুরু করলাম, এক বুড়ির খেজুরের রসের পায়েস খাওয়ার খুব সখ ছিল। অনেক কষ্ট করে একদিন সে খেজুরের রসের পায়েস পাক করলো। বুড়ির বাড়ির পাশে একটা বানর ছিল। বানর এসে বুড়ির সখের পায়েস খেয়ে গেল, আর যাওয়ার সময় একটু পায়েস বুড়ির ছাগলের মুখে লাগিয়ে দিয়ে গেল। বুড়ি এসে পেটন ছাগলকেই দিলো কারণ; পায়েস ত ছাগলের মুখেই লেগে ছিল! আসল ঘটনা আশা করি জ্ঞানীরা সহজেই বুঝতে পেরেছে।

 

১৭শ খৃস্টাব্দে ইংরেজরা ভারত বর্ষে  আগমণ করে। ১৭১২ খৃঃ বাংলার সুবেদার আজীমুদ্দীনের কাছ থেকে  সুতানুটি, গোবিন্দপুর, এবং কলকাতা নামক গ্রাম খরীদ করে। ১৭৫৭ সালে পলশী যুদ্ধ হয়, মির জাফরের কারণে বাংলার নবাব সিরাজ উদ দৌলা পরাজিত হয়। এদের দখলদারী শুরু হল, ১৭৫৭ সালে। আর ১৮৫৭ সালে দিল্লীর সর্বশেষ মুসলিম সম্রাট বাহাদুর  শাহকে পরাজিত করে ইংরেজরা ভারত বর্ষে তাদের পূর্ণ রাজত্ব কায়েম করে। সার কথা, ইংরেজদের ভারত বর্ষ দখল করতে সময় লাগে ১০০ বছর। (১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭) এরপর অনেক কথা......। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ ভারত ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন

 


নারী যখন ফেছবুকে .........।

মাওলানা মুফতী আব্দুল আহাদ 02 সেপ্টেম্বর

 

........তাদের জন্যে যারা আখেরাতে বিশ্বাসী-

 

ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার কোন স্থান নেই। ইসলাম ধর্মে রয়েছে কঠোর পর্দার ব্যবস্থা, আর এপর্দাই হচ্ছে, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা রোধের একমাত্র হাতিয়ার। মহান আল্লাহ পাক এই “ঐশী পবিত্র বিধান” দ্বারা ইসলাম কে করে তুলেছেন অনন্য, আর এর মাধ্যমে তিনি নারীদের দিয়েছেন সীমাহীন মান-মর্যাদা।

১)পর্দার বিধান যেখানেই লঙ্ঘিত, সেখানে অবাধে প্রবেশ করে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা; আর এ হাতীয়ার দ্বারাই শয়তান মানুষকে

কাবু করে ফেলে, করে তুলে চরিত্রহীন। ফলে মানুষ আস্তে আস্তে হয়ে উঠে আল্লাহ পাকের অবাধ্য। তাই আল্লাহ পাক পর্দার মাধ্যমে অশ্লীলতা, বেহায়া ও নগ্নতার দার চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন।

২)অশ্লীলতা, নগ্নতা ও বেহায়াপনা সাধারণত নারীদের  মাধ্যমেই প্রচার-প্রসার ঘটে থাকে, তাই নারীকে আল্লাহ পাক পর্দায় থাকার আদেশ

দিয়েছেন।এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন মাজীদে সাতটি জলন্ত আয়াত ও হাদীস গ্রন্থে প্রায় আশি খানা সহীহ হাদীস রয়েছে।

৩)মহান আল্লাহ পাক নারীর ইজ্জত ও আবরুর প্রতি এতটাই গুরুত্ব দিয়েছেন যে, তাদের আওয়াজ পর্যন্ত পর্দার অধীনে করে দিয়েছেন,

     এমনকি নারীর ছায়া পর্যন্ত দেখার অনুমতি ...


প্রসঙ্গ: প্রবন্ধ মন্তব্য: 0  |  বিস্তারিত পড়ুন